স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ৫ দিন টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি তৈ তৈ করে বাড়তে শুরু করে পানি, ঈদের আগের দিন থেকে শুধু হয় বৃষ্টি ও পাহারী ঢলে প্লাবিত হয় পরে জগন্নাথপুর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভার বিভিন্ন গ্রামের বাড়িঘর রাস্তা-ঘাট,ফসলী জমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ পানিতে তলিয়ে যায়। এই অবস্থায় প্রথম দিন বিদ্যুৎ না থাকলেও পরের দিন থেকে বিদ্যুৎ সেবা চালু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রশংসায় ভাসছেন জগন্নাথপুর আবাসিক প্রকৌশলী( বিদ্যুৎ) আজিজুল ইসলাম আজাদ। ভয়াবহ বন্যার সময় আবহাওয়া অপেক্ষমান বিদ্যুত সেবা চালু রেখেছে উপজেলা বিদ্যুত বিভাগ।অনেক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন এলাকাবাসী।
তাদের এমন সেবায় খুশি উপজেলার সাধারণ মানুষজন।
জানা যায়, পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টির কারণে জগন্নাথপুর পৌর এলাকা সহ উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। মঙ্গলবার ভোর থেকে পৌর শহরে প্রবেশ করতে থাকে সুরমা নদীর পানি । বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৬৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্রবল বেগে পৌর এলাকায় ঢুকে ভাসিয়ে দেয় বাড়ি ঘর ও রাস্তা ঘাট । এক ঘন্টার ব্যবধানে মানুষের বসত ঘরে ঢুকতে শুরু করে বানের পানি। পরে আস্তে আস্তে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পানি ঢুকতে থাকে। যানমালের নিরাপত্তায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বন্যা কবলিতরা । আকস্মিক এই বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়েন মানুষ।
সীমাহীন দুর্ভোগ ও কষ্টে পড়েন উপজেলাবাসী। বানের পানি সড়ক ডুবিয়ে মানুষের বাড়ি ঘরে প্রবেশ করে ভোগান্তি বাড়ালেও মানুষ অনেকটা স্বস্তি পেয়েছেন সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ থাকায়।বন্যার পরিস্থিতির মতো দুর্যোগে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখায়,আশ্রয় কেন্দ্র থাকা লোক জনও নিরাপদে রয়েছেন এমন কি অনেকের গরু, ছাগল, চুরি না ওয়ার আতঙ্ক থেকে।
জগন্নাথপুর প্রকৌশলী বিদ্যুৎ আজিজুল ইসলাম আজাদ বন্যা ভয়া বহ পরিস্থিতিতে জলের মতোই প্রশংসায় ভাসছেন। দুর্যোগে পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের আব্দুস শহিদ বলেন, ভোর সাড়ে ৬ টায় পানি প্রবেশ করে ঘরে। পানি ঢুকে পড়ায় সব জিনিস পএ তোলার চেষ্টা করি। এসময় কাজকে আরও সহজ করে দিয়েছে বিদ্যুতের আলো। বিদ্যুৎ থাকায় ভোগান্তি হলেও স্বস্তি ছিল মনে।
জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল মুকিত বলেন অন্যা সময় দুর্যোগ আসার আগে বিদ্যুৎ চলে যেত। কিন্তু এইবার জগন্নাথপুর বিদ্যুৎ যে সেবা দিয়েছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বিদ্যুৎ না থাকলে নেটওয়ার্ক থাকতো না। যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে যেত। কিন্তু সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ থাকায় কষ্ট অনেকটা হালকা হয়েছে। সবার সাথে যোগাযোগ রাখাও সম্ভব হয়েছে।,ফোন করে নেতা কর্মীদের বলা গেছে সবাই আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে আসার জন্য।
লন্ডন প্রবাসী মহিলা বলেন দেশে আইছি, ঈদ করতে, আগের বার আইছিলাম,বিদ্যুতের অবস্থা দেখে বিদেশ চলে যাই, এইবার ঈদে আইসা এত ভালো লাগছে একবার বিদ্যুৎ যায়নি। ধন্যবাদ জানাই প্রকৌশলীকে।
জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বেলাল বলেন, জগনাথপুর উপজেলা বন্যা পানিতে রাস্তাঘাট চালিয়ে যায় এই সময় বিদ্যুৎ যায়নি। বিদ্যুৎ বিভাগ যে সার্ভিস দিয়েছে প্রশংসনীয়। বিশেষ করে বিদ্যুৎ থাকায় অনেক লোকজনের মাছ-মাংস ভালো রয়েছে।
জগন্নাথপুর প্রকৌশলী ( বিদ্যুৎ) আজিজুল ইসলাম আজাদ জগন্নাথপুর খবর ডটকম কে বলেন আমরা জগন্নাথপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করি মানুষকে সেবা দিতে, মাঝে মধ্যে ঝড় তুফান আসলে বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হয়, তুফানে বিদ্যুৎ বন্ধ না হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনায় হতে পারে। পরে তিনি বন্যার্ত মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন কারো ঘরে পানি ঢুকলে তারা যদি আশ্রয়কেন্দ্রতে চলে আসেন ঘরের বিদ্যুৎতের মেইন সুইচ যেন বন্ধ করে আসেন।।