স্টাফ রিপোর্টাঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বন্যা পরিস্থিতির বিপদ সীমা অতিক্রম করছে এর কারণে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়েছে জগন্নাথপুর বাসী। প্রতি ঘণ্টায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার উঁচু এলাকাগুলোও এখন প্লাবিত। অন্যদিকে মানুষজনের দুর্ভোগকে পুঁজি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুৎ নেই, এই অবস্থায় সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মোমবাতি দাম ও গ্যাসের দাম কেরোসিনের দাম, বাড়িয়েছে, মোমবাতি পাওয়া যাচ্ছে না । দুয়েক জায়গায় মোমবাতি পাওয়া গেলেও তার দাম সাধারণের নাগালের বাইরে।
স্থানীয়রা জানান, টানা বৃষ্টি ও জমে থাকা পানির কারণে ঘর থেকে বের হওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ায় ত্রাণ কার্যক্রমও খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। অনেকের ঘরে চাল-সবজি থাকলেও সেগুলো রান্না করে খাওয়ার মতো ব্যবস্থা নেই। বেশিরভাগ ঘরবাড়িতে পানিতে।বৃষ্টির কারণে আগুন জ্বালানের ন্যূনতম সুযোগও নেই।
জগন্নাথপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা চান মিয়া বলেন, আগের কিছু চাল ছিল, আর সামান্য কিছু বাজার করতে পেরেছি। । পানিতে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে।
হবিবপুর গ্রামের সাজিদ মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত অনবরত বৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষের দুর্দশার শেষ নাই।।
জগন্নাথপুর ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনিল দেবনাথ জানান, কাল রাত থেকে বৃষ্টি হচ্চে, বাড়ি ঘর পানি, বের হয়া যাচ্চে না।
সকাল ১০টার
দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। রিকশা ও বড় যানবাহন পানি ডিঙিয়েই চলছে। জগন্নাথপুর উপজেলা, পালগাওঁ, জালালপুর, রানীগঞ্জ, চিলাউড়া হলদিপুর, দাস নাগাওঁ সহ একাধিক মূল সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। চারদিকে থৈ থৈ পানি। রাস্তা, দোকানপাট, বাসাবাড়ি, ঘরের মধ্যে পানি। কোথাও কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত।
পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রবল বর্ষণ অব্যাহত থাকায় রাস্তায় মানুষজনই যাচ্ছে না। জগন্নাথপুর উপজেলা আব্দুল সামাদ আজাদ অডিটোরিয়াম আশ্রয় কেন্দ্র লোক জন উঠেছেন।
এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন ২০-৩০টি এলাকায় নতুন করে পানি প্রবেশে করছে। সবমিলিয়ে শতাধিক মহল্লার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছে।
বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য সকাল থেকে প্রশাসন মাঠে করেছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল বশিরুল ইসলাম বলেন সকাল থেকে আমি মাঠে আছি।বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন কে আশ্রয় কেন্দ্র পাঠাচ্ছি। বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। বেশি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।।