শাল্লায় কুশিয়ারা নদীর পাড় কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
শাল্লা প্রতিনিধি::-সুনামগঞ্জের শাল্লায় ২নং হবিবপুর ইউনিয়নের অন্তগত মার্কুলি বাজারের খেয়াঘাটের পূর্ব পাশে,মশাকুলি মৌজায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে কুশিয়ারা নদীর পাড় কেটে মাটি উত্তোলন করে আসছে প্রভাবশালী মহল। অবৈধ এসব মাটি ব্যবসায় সেখানকার প্রভাবশালী মহলের স্থানীয় ইউপি সদস্য মইন উদ্দিন, মাহফুজ মিয়া, কদম আলী, উজ্জ্বল মিয়া,আংগুর মিয়া গংরা জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
অবৈধভাবে সরকারি জায়গা থেকে নদীর পাড় কেটে মাটি উত্তোলন করায় সেখানকার ৭জন মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আলাউদ্দিন। জানা যায় (২৯ ফেব্রুয়ারী) বুধবার দুপুর ২টায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আলা উদ্দিন সেখানে উপস্থিত হয়ে অভিযান চালিয়ে মাটি পরিবহনের বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দু’জন লোক সহ আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে তাদের উপর এই জরিমানা করা হয়।
সেখানকার স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে কুশিয়ারা নদীর নিকটবর্তী মুরাদপুর গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বার মইন উদ্দিনের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় স্থানীয় প্রভাবশালী মাহফুজ মিয়া, কদম আলী, আংগুর মিয়া ও উজ্জল মিয়া গংরা দীর্ঘদিন যাবত ধরে অবৈধভাবে কুশিয়ারা নদীর পাড় কেটে অন্তত ৩০ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রি করেছে। স্থানীয়রা জানায় মসজিদের ফান্ডে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার বিনিময়ে এই মাটি উত্তোলন করা হতো। নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে মার্কুলি বাজার, মুরাদপুর,দৌলতপুর, নোয়াগাঁও,ধমারগাঁও সহ বেশকিছু জায়গায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তারা মাটি বিক্রি করে আসছে।
নদীর পাড় কাটায় মুরাদপুর গ্রামটি হুমকির মুখে পড়ে যায়। এবং খুব শীর্ঘই নদী ভাঙ্গনের দেখা দেবে বলে জানান এলাকাবাসী। আটককৃত দু’জন মাটি ব্যবসায়ীকে শাল্লা থানায় আনার পর, গতকাল রাত ১০টায় শাল্লা থানার এসআই (নিরস্ত্র) আমির উদ্দিনের উপস্থিতিতে আটককৃত মাটি ব্যবসায়ী মোছাব্বির মিয়া ও মোবারক মিয়া সহ আংগুর মিয়া,উজ্জল মিয়া,কদম আলী,মাহফুজ মিয়া,মইন উদ্দিন (মেম্বার) এদের উপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এবং নদীর পাড় কাটা দন্ডবিধি অনুযায়ী মাটি উত্তোলন কারীদের উপর ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আলাউদ্দিন।
মার্কুলি গ্রামের বেশ কয়েকজন লোক জানান এই নদীর পাড় আমাদের শাল্লা সীমানা ও মশাকুলি মৌজায় পড়েছে। কিন্তু নদীর পূর্ব পাড় থেকে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক প্রভাব কাটিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মাটির ব্যবসা করে আসছে। তারা জানান সেখানে মসজিদের নাম বিক্রি করে তারা এসব করছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আলাউদ্দিন বলেন অবৈধভাবে নদীর পাড় কাটায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের উপর অর্থদণ্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন এভাবে নদীর পাড় কাটলে নদী ভাঙ্গনের সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। নদীর তীরবর্তী গ্রাম,ঘরবাড়িগুলোও থাকে ঝুঁকিতে। ভবিষ্যতে যাতে এরকম কর্মকাণ্ড না করে প্রশাসন সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখবে বলে জানান তিনি।