ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
৩ জনের মরদেহ উদ্ধার, পরিচয় শনাক্ত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর স্বজনরা নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করেন। এ নিয়ে মোট পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে ভৈরব মেঘনা নদী ও পুলতাকান্দা এলাকা থেকে ভাসমান মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়।
ধাক্কা দেওয়া সেই বাল্কহেড জব্দ, আটক ৩
তারা হলেন, নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার কন্যা আনিকা আক্তার (২০), অপরজন ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার এলাকার টুটন দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), পুলিশ সদস্য সোহেল রানার কন্যা মাহমুদা (৮)।
নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, উদ্ধার অভিযানের দ্বিতীয় দিনে রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে ভৈরবের মেঘনা নদীতে সেতু এলাকা ও পুলতাকান্দা এলাকায় ভাসমান অবস্থায় ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল তিন জনের মরদেহ করা হয়েছে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্য সাদেক বলেন, আমাদের সহকর্মী সোহেল রানার মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে থানায় এসে তার মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেছি।ল
নিখোঁজ ৮ জনকে উদ্ধারে মেঘনায় ডুবুরি দল
নিহত রুপা রানী দে স্বজন রুমা রানী দে জাগো নিউজকে বলেন, দুর্ঘটনার তিন দিন পর রোববার দুপুরে মেঘনা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। আমার ভাইয়ের স্ত্রীর মরদেহ চিনতে পেরেছি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ নৌপুলিশের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্য শনিবার (২৩ মার্চ) দুজনের মরদেহ ও রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে মেঘনা নদী থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।