রাজীব দেব রায় রাজু , মাধবপুর(হবিগঞ্জ) থেকে।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের ১০ নম্বর এলাকায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান করা হচেছ একটি ব্রীজ।
ব্রীজ নির্মান কাজের ফাইলিং এর মধ্যে শেষ হলেও এখন পর্যন্ত লাগানো হয়নি সাইনবোর্ড। রড, সিমেন্ট, বালু, পাথর স্বিকৃত প্রতিষ্টান থেকে টেষ্ট করে মান নির্নয়ের পর রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর কাজ শুরু করার নিয়ম থাকলেও , টেষ্টের রিপোর্ট গুলো এখনো হাতে পায়নি কাজের তদারকি দায়িত্বে থাকা মাধবপুর উপজেলা সহকারী প্রকৗশলী ।
সরকারি কোন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড করার সময় সেখানে দৃশ্যমান একটি সাইনবোর্ড লাগানো নিয়ম থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্টান ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে গাফিলতির কারনে লাগানো হয়নি সাইনবোর্ড।
সরকারের কোটি টাকার উন্নয়ন হলেও কেন সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি তা নিয়ে সচেতন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জনগনকে তথ্য ফাঁকি দিতে , নাকি কাজের অনিয়ম করতে লাগানো হয়নি সাইনবোর্ড এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের লোকজন বলছেন শিঘ্রই সাইনবোর্ড লাগানো হবে ।
এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের ১০ নং এলাকায় একটি খালের উপর একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য এলজিইডি কতৃপক্ষ টেন্ডার আহ্বান করলে কাজ পান হাসান এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্টান। ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মান হচেছ এই ব্রীজটি।
এর মধ্যে ব্রীজের ফাইলিংয়ের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্টান।
স্থানীয়দের অভিযোগ , ব্রীজ নির্মান কাজে সিলিকা বালু ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্টান ও এলজিইডি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ব্রীজের নিচে খালের বালু দিয়ে কাজ করছেন। তাছাড়া ৬০ ডিগ্রি রড ব্যবহার করার কথা থাকলেও ব্রীজ নির্মান কাজে ব্যবহার করা হচেছ ৫০ ডিগ্রী রড।
ব্রীজ নির্মান কাজে পরিদর্শন করে দেখা যায় সেখানে যে পাথর ব্যবহার করা হচেছ তার মানও খুব ভাল নয়। ময়লা আর ছোট ছোট পাথর ফেলে রাখা হয়েছে সেখানে।
এই ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ রাজীব ( রুবেল) নামে একজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা সিলিকা বালু দিয়েই কাজ করছেন। কাজের শুরুতে সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি কেন ? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি তাতে কি হয়েছে। সাইনবোর্ড লাগানো হবে।
৬০ ডিগ্রী রড ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও আপনারা ৫০ ডিগ্রী রড ব্যবহার করছেন কেন এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দিতে পাড়েন নি।
এই ব্যাপারে হাসান এন্টার প্রাইজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
মাধবপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, প্রায় ২ কোটি ৫৪ লাখ ব্যায়ে ব্রীজটি নির্মান করা হচেছ। ব্রীজ নির্মান কাজের শুরুতে সাইনবোর্ড লাগানোর নিয়ম থাকলেও শিঘ্রই সাইনবোর্ড লাগানো হবে।
সিডিউলে কি ধরনের বালু ব্যবহার করার নিয়ম রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্রীজ নির্মান কাজে সিলিকা বালু ব্যবহার করা হয়েছে তবে কিছু লোকাল বালু ব্যবহার করা হয়েছে। রডের গায়ে যে লেখা আছে ৫০ গ্রেড, সেটা যদি আমরা কনভার্ড করি তাহলে টিক আছে।
হবিগঞ্জ জেলা নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ ফরিদুল ইসলাম জানান, সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি ,লাগানো হবে। সিলিকা বালু ব্যবহার না করে লোকাল বালু ব্যবহার করা হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন বালু, রড, পাথর ল্যাবে পরীক্ষা করে লাগানো হয়েছে। ল্যাবের রিপোর্ট গুলো মাধবপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম তার কাছে নেই বলে জানিয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন উনার কাছে রিপোর্ট গুলো রয়েছে মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী উনার কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পাড়ে।