স্টাফ রিপোর্টার।।
রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ
চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায় জগন্নাথপুর উপজেলা চিলাউড়ার দিন ধরে ভেঙে যায়।এই রাস্তা দিয়ে
না জরুরি সেবার কোনো গাড়ি। এমনকি শ্মশান বা গোরস্থানে যেতেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এলাকাবাসীর। স্কুল-কলেজে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের।প্রতিনিয়তো ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটি মাটি ও পাকা গুলো ভেঙ্গে গেছে।
স্থানীয়দের চলাচলে এই পাকা সড়কটি নির্মাণের দাবী।
জনপ্রতিনিধিরা ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পর আর তাদের দেখা মেলে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় প্রায় ৭৫ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসবাস। সবাই মিলে একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার, প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু কেউ কোনো কাজ করেননি। তাই ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
সাবেক কাউন্সিল ও আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুর রহমান বলেন, চিলাউড়া র রাস্তা টি ভেঙে গেছে। প্রতিনিয়তো ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে।
রাস্তাটি নির্মাণ করা জরুরি ।
সাবেক চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে জগন্নাথপুর শহরে যেথে হয়। শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। জরুরি সেবার কোনো গাড়ি বা যেকোনো গাড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে পারে না। হিন্দু বা মুসলিম কেউ মারা গেলে কাঁদার কারণে সৎকার, দাফন-কাফনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। অতি প্রাচীন রাস্তাটি পাকাকরণ এখন সময়ের দাবি।
ওই এলাকার বাসিন্দা গুপি দাস বলেন, সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রাস্তাটি ব্যবহারের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে
চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল
বলেন, রাস্তাটি
অবস্থায় রাস্তাটি নির্মাণ করা হবে রাস্তাটি পাকাকরণে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো।আমরা রাস্তা পাকা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছি।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে।।।