স্টাফ রিপোর্টারঃ-
জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ইউপি চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদের অপসারণ চেয়ে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোমবার শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ অভিযোগটি দায়ের করেন জাহিদ হাসান। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া কোটা আন্দোলনে আবু সাঈদ হত্যার প্রতিবাদে আমরা ছাত্র সমাজ গত ১৮ জুলাই রানীগঞ্জ বাজারে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করি। মিছিলে আশে পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিলে আংশ নেয়।
উক্ত মিছিলে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পৃষ্টপোষক ইউপি চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ এর প্রত্যক্ষ মদদে ও নেতৃত্বে সাধারন শিক্ষার্থীদের উপর দেশীয় অস্ত্র সস্রে সজ্জিত হয়ে তাদের উপর হামলা করা হয়। হামলায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুজতে থাকেন এবং মিছিলে কে কে ছিলেন তার জন্য একটি তালিকা তৈরী করে অন্য এলাকার একটি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় আমাদের কিছু সংখ্যক ভাইদের নাম যুক্ত করেন। যাহার মামলা নং-১২, তারিখ ১৯-০৭-২০২৪ইং। এছাড়া অন্যান্য ছাত্রদের নামে একটি তালিকা তৈরী করে রেখেছেন। যাতে করে তাদের গুন্ডাবাহীনি আমাদের যেখানে পায় সখানেই হামলা করে।
আমরা ছাত্ররা তাদের ভয়ে এলাকায় অবস্থান করতে পারিনি। কয়েকদিন পরেই ইউপি চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদের ইশারায় রাতের আধারে আলমগীরের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ৪টি গরু পুড়ে গিয়ে ৫লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের ভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এখনও মামলা করতে পারেনি।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, রানীগঞ্জের ছাত্র সমাজের মিছিলে গত ১৮ আগষ্ট হামলা ও বাড়িতে গিয়ে পরিবারের হয়রানী করে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়ার কারনে আমরা জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করি। মামলা নং-৮ তারিখ ২২-০৮-২০২২ইং।
তাদের পদত্যাগের দাবীতে শিক্ষার্থীরা রানীগঞ্জে মানববন্ধন করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আমরা এখন হুমকির মুখে রয়েছি। যে কোন সময় তাদের দ্বারা আমাদের উপর যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদকে অপসারনে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন শিক্ষার্থীরা।