আমরা সুনামগঞ্জবাসী’র পক্ষ থেকে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে বন্যা দূর্গতদের নগদ অর্থ বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে।
রবিবার ২৫ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১০নং বাতিসা ইউনিয়নের বন্যার পানিতে প্রায় বিলীন হয়ে যাওয়া দুর্গত এলাকার কয়েকটি গ্রাম তথা সোনাপুর, দেবিপুর, উল্লাপাড়া, ডলবা, দৈয়ারা, বশকরা গ্রাম পর্যবেক্ষণ করেন নেতৃবৃন্দ।
এ আয়োজনে আমরা সুনামগঞ্জবাসী’র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর সৈয়দিয়া শামছিয়া সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ রেজওয়ান আহমদ,
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা ইলিয়াস আহমদ, মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
বন্যা কবলিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্থানীয় যুবকদের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল একটি কলাগাছের বেলা দিয়ে ঢাকা কুমিল্লা চট্রগ্রাম হাইওয়ে রোড থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার ভিতরে নিয়ে যায় এবং গ্রামগুলো প্রদক্ষিণ করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে বসত ভিটা বাড়ির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নগদ অর্থ বিতরণ করেন।
বাস্তবতা হলো; অত্র এলাকাসহ অনেক রিমুভ অঞ্চলে ত্রান বিতরণকারী কোন টিম এ পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ হয়নি। যেখানে নৌকার ব্যবস্থা নেই; অথচ হাজার হাজার মানুষ তলিয়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে প্রায় সাতার কেঁটে চলাফেরা করছে। ৪জনের উক্ত টিম ইউনিয়নের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং নগদ অর্থ বিতরণ করেন।
তাছাড়া রাস্তার পাশে থাকা কয়েকশত পরিবারে তারা নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং পাশাপাশি বিপর্যস্থ কয়েকটি বাড়ি-ঘর পর্যবেক্ষণে যে কয়েকটি বিশেষ সমস্যা পরিলক্ষিত হয়; তা হচ্ছে–
ক) পানি নামার সাথে সাথে অনেক পরিবারের বসত ঘর মাটির সাথে মিশে যাবে। বসবাসযোগ্য ঘর নির্মান একান্ত প্রয়োজন দেখা দিবে।
খ) খাবার বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থার একান্ত প্রয়োজন দেখা দিবে।
গ) যোগাযোগ সংযোগস্থল সংস্কারের ব্যবস্থা একান্ত প্রয়োজন হবে।
আমরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় কিছু যাচাই বাছাই করত: ১০/১২টি পরিবারের বসত ভিটা সংস্কার/মেরামতের সাধ্যমত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কয়েকটি পানির কল (টিবওয়েল)’র ব্যবস্থা করতে আশ্বাস দিয়েছেন এ প্রতিনিধি দল।এতে বিত্তবানদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি