জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::
পূর্ব বিরোধের জের ধরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এর মধ্যে গুরুতর আহত চারজন কে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গুরুত্বর আহতরা হলেন, মৃত সুলেমান মিয়ার ছেলে মো. ইছমত মিয়া ও ইউনুছ মিয়া, ইমামুল মিয়ার ছেলে মুরাদ মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে আব্দুল মজিদ। অপর পক্ষের মামুন মিয়া, ওয়াতির মিয়া, খালিদ মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৯জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের খাগাউড়া গ্রামের আব্দুল আহাদ ও একই গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৮ জুলাই মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে আলী আহমদ ও আব্দুল আহাদের ছেলে জুনেদ মিয়ার মধ্যে হলিকোনা বাজারে চা খাওয়া নিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জুনেদ মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলী আহমদের উপর তার রেস্টুরেন্টে হামলা চালায়। এ সময় আলী আহমদের পিতা সিরাজুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই আহত হন। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রক্ষিতে সোমবার বিকেলে জুনেদ মিয়াকে গ্রেফতার করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার পিতা আবদুল আহাদ লোকজন নিয়ে ফের সিরাজুল ইসলামের লোকদের উপর হামলা করলে এই সংঘর্ষ ঘটে।
আহত সিরাজুল ইসলাম বলেন, জুনেদ মিয়া গ্রেফতার হলে তার পিতা আব্দুল আহাদের হুকুমে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে আহত করেছে। অপর পক্ষের বকুল মিয়া বলেন, জুনেদ মিয়াকে গ্রেফারের বিষয় নিয়ে আমরা স্থানীয় বাজারে মাতামাতি করেছি এজন্য সিরাজুল ইসলাম এর লোকজন আমাদের উপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনজার্চ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় খাগাউড়া গ্রামে মারামারির খবর পেয়ে দ্রুত আমার ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। পূর্বের অভিযোগে জুনেদ মিয়া নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।##