জগন্নাথপুরের খবর ডেক্সঃ
কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী জনপদ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিভিন্ন সড়ক চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাইলগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর, খানপুর, পুরাতন আলাগদি, সোনাতলা সড়ক বন্যার পানির স্রোতে বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যায়।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় জালালপুর, পুরাতন আলাগদি, সোনাতলা ও বাগময়না-রানীগঞ্জ, জগন্নাথপুর পৌর সভার আলীয়াবাদ, মন্দিরবাড়ী সড়ক। এসব ভাঙ্গা সড়ক পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে প্রয়োজনের তাগিদে এলাকাবাসীর নিজস্ব উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। এসব ঝুঁকিপূর্ণ নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থী, বয়স্ক নারী-পুরুষ এমনকি অসুস্থ রোগীরাও যাতায়াত করছেন। স্থানীয়রা জানান, ৫০ থেকে ১শত ৫০ ফুট দীর্ঘ সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ছিটকে পড়ে অনেকই মোবাইল, ছাতা সহ জিনিসপত্র খুইয়েছেন।
জালালপুর গ্রামের মুফতি আলী হোসেন বলেন, এবারের বন্যায় আমাদের পাকা সড়কের দুটি স্থানে বড় দুটি ভাঙ্গা হয়েছে, এলাকার সবাই নিজস্ব উদ্যোগে ভাঙ্গা সড়কে দুটি দীর্ঘ সাঁকো নির্মাণ করেছি, সাঁকোর উপর দিয়ে আমরা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছি।
একই গ্রামের অলিউর রাহমান বলেন, কুশিয়ারা নদীর তীরের বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙ্গেছে, ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ গুলো বাঁধা হলে সড়কের উপর থেকে পানি নামবে এবং এলাকার জমি গুলোতে চাষাবাদ হবে, পুরাতন আলাগদির মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ১শত ফুট দীর্ঘ সাঁকো সহ তিনটি সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন হাটবাজারে যেতে হয়, এসব নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো ঝুঁকিপুর্ণ, আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থী সহ বয়স্ক মানুষরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হতে হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানান, ২০২৪ সালের মে মাস থেকে সমগ্র সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা শুরু হয়। এই জুলাই মাস পর্যন্ত প্রায় তিনবার বন্যা হয়েছে। এই উপজেলায় বিভিন্ন কারনে বন্যার পানি অল্প অল্প করে কমছে। এ জন্য সড়ক গুলোতে পানি বেশি সময় থাকে। সড়কের বিভিন্ন লেয়ার লেয়ার ড্যামেজ হয়ে যায়। এই রাস্তা গুলোর তালিকা করা হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে গেলে বরাদ্ধ আসলে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক গুলো মেরামত করা হবে।##