স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের লহরী গ্রামের এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর বাড়ি থেকে ডাকাতি করে পালানোর সময় দুই ডাকাত কে অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। পুলিশ ও ডাকাতির শিকার পরিবারের লোকজন জানান,সোমবার ভোররাতে উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের লহরী গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুবায়ের আহমেদ বাড়িতে ৬/৭ জনের একদল ডাকাত হানা দিয়ে লোহার গেইটের তালা ভেঙে পরিবারের লোকজন কে অস্ত্রেরমুখে জিন্মি করে রশি দিয়ে বেঁধে আলমারি থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা, চারটি মুঠোফোন লুট করে। এসময় প্রতিবেশী যুবক আবদুল আহাদ ডাকাতির ঘটনা টের পেয়ে লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়লে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। বিষয়টি জগন্নাথপুর থানা পুলিশ কে জানানো হলে জগন্নাথপুর থানার টহল পুলিশ ডাকাতদের ধাওয়া দেয়। পরে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ কে অবহিত করলে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ কোনারাই এলাকা থেকে দুই ডাকাত কে গ্রেপ্তার করে। এদের একজন হলেন ১৮ ডাকাতির মামলার আসামি আজির উদ্দিন (৪৭) সে বিশ্বনাথের সৎপুর গ্রামের বাসিন্দা। অপরজন মৌলবীবাজারের রাজনগর উপজেলার পূর্ব মশারিয়া গ্রামের ডাকাত আহমদ আলী (৩০) এসময় তাদের কাছ থেকে একটি পাইপগান একটি চাকু ও লুণ্ঠিত চারটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।
লহরী গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবেশী যুবক আবদুল আহাদ জানান,ডাকাতি চলাকালে টের পেয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ায় ডাকাতরা আরো মালামাল না নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ কে অবহিত করলে পুলিশ অভিযানে নেমে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে।
দেশে থাকা প্রবাসীর স্ত্রী রুবি বেগম জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে ডাকাতদল গেইটের তালাভেঙে দ্রুত ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। এ ঘরে তখন আমরা চারজন নারী ছিলাম। ভয় তখন আমাদের গলা শুকিয়ে আসছিল। দ্রুত সময়ের মধ্যে নগদ, টাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় গুলির শব্দ শুনেই ঘর থেকে বেরিয়ে যান ডাকাতরা।
জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ডাকাতির খবর শুনে টহল পুলিশের মাধ্যমে ডাকাতদের ধরতে অভিযানে নেমে ডাকাতদের ধাওয়া দিলে ডাকাতরা বিশ্বনাথ সিলেট সড়ক দিয়ে পালাতে থাকে। বিষয়টি বিশ্বনাথ থানা পুলিশ কে অবহিত করলে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ দুই ডাকাত কে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় ডাকাতির মামলা প্রক্রিয়াধীন।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পিপিএম বলেন,পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযানে নামায় ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই ডাকাতকে আটক করা হয়। ধৃত দুই ডাকাতের একজনের বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ ১৮ মামলা রয়েছে। অপরজনের বিরুদ্ধে চারটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। এরা সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য। এ ঘটনায় অন্য জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা চলছে।