বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মো.হাবিবুর রহমান, অভাবের সংসারেও নিজের মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবারের একমাত্র উর্পাজনের ব্যক্তি তিনি। প্রতিবন্ধি একটি সন্তান সহ আরেকটি ছোট সন্তানকে নিয়ে জীবন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। হাবিবুরের স্বপ্ন ছিল সন্তানদের লালন পালন করে বড় করবেন। এখন তার স্বপ্নের সবচেয়ে বড় বাঁধা হলো দুরারোগ্য ব্যাধি।
মো. হাবিবুর রহমান সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রাক্ষণগাঁও গ্রামের মো. আব্দুল মমিন ও মোছা. বানেছা বেগমের সন্তান। গত এক বছর ধরে হাবিবুরের জীবনকে অতিষ্ঠ করে দিয়েছে দুরারোগ্য ব্যাধি। অসহায় পরিবারটির যতটুকু সামর্থ্য ছিল ভিটে-বাড়ি বিক্রি করে তা চেষ্টা করেছেন। এখন তার চিকিৎসার খরচ বহন করা তার পরিবার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এই দুরারোগ্য ব্যাধিটি ধরা পরার পর তার পরিবার প্রাথমিকভাবে সিলেটের বিভিন্ন বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। কিন্তুু এ অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি বরং দিনদিন শারিরীক অবস্থার আরো খারাপ হয়ে পরে। তখন পরিবার বাধ্য হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে গেলে তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ৬লাখ টাকা লাগবে বলে চিকিৎসকরা জানায়।
বিভিন্ন পরীক্ষায় রিপোর্ট দেখে ডাক্তাররা বলেছেন, তার পায়ের রক্ত চলাচল করে না। তার বাইপাশ অপারেশন করা প্রয়োজন। পায়ের লগ ব্লক হয়ে গেছে। ডাক্তাররা তাকে জরুরীভাবে অপারেশন করতে বলেছেন। এ জন্য তার প্রায় ৬ লাখ টাকা প্রয়োজন। স্থানীয় রানীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী তানভির আহমদ সোহেল বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা কালেকশন করেছেন।
মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমার গ্রাম, উপজেলা সহ দেশের বৃত্তবান লোকেরা কাছে বিনীত অনুরোধ করছি আপনারা আমাকে বাঁচার জন্য সাহায্য করুন। সকলের প্রচেষ্টায় অনেক বড় কাজও সহজে করা সম্ভব। অসহায় পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই সমাজের বৃত্তবান লোকদের কাছে সাহায্যের আবেদন করছি। সাহায্যে পাঠানোর জন্য বিকাশ নাম্বার : ০১৭১৪-৭৭০৩৪৯