বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার হলদিপুর-চিলাউড়া ইউনিয়নের বাউধরন গ্রামে মুজিব মার্কেট নামে পরিচিত একটি ছোট বাজার, এই বাজারটি বিভিন্ন কারণে এলাকার মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাউধরন, স্বজনশ্রী সহ তিনটি গ্রামের মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটার জন্য রানীগঞ্জ বাজার ও জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে যেতে হতো। একসময় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় অনেকটা কষ্ট করে দূরের হাটবাজারে যেতেন ঐ এলাকার মানুষ। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কেনাকাটার কষ্ট লাগবে বাউধরন গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসি সমাজ সেবক মুজিবুর রহমান ২০১৬ ইংরেজি সনে এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি সহ জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় করে তাঁর নিজ ভূমিতে প্রতিষ্ঠা করবেন মুজিব মার্কেট। বাজারের ভিটা তৈরি করে এলাকার মানুষের কাছে বিক্রি করে পুর্নাঙ্গ বাজারে প্রতিষ্টিত করেন। বর্তমানে এই মুজিব মার্কেটে ডাক্তার চেম্বার সহ ফার্মেসী এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর বেশকিছু দোকানপাট রয়েছে। এছাড়াও মুজিব মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নামাজের সুবিধার জন্য রয়েছে মসজিদ। নিরিবিলি পরিবেশে শাকসবজি সহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কেনাকাটার সুযোগ সুবিধা থাকায় এলাকার কাউকে কষ্ট দূরের বাজারে এখন আর যেতে হয়না। অন্য সব বাজারের মতোই মুজিব মার্কেট প্রতিষ্ঠার পর থেকে গঠন করা হয়েছে পরিচালনা কমিটি। বাজারের শৃঙ্খলা, অসামাজিক কার্যকলাপ রোধে এবং ব্যবসায়ি ও ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষায় পরিচালনা কমিটি কাজ করে আসছেন।
সরজমিনে গিয়ে বাউধরন মুজিব মার্কেটের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা ও পরিচালনা কমিটির লোকজনের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, মুজিব মার্কেট শুধু বাজারই নয় বাউধরন সহ পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামের মানুষের মিলনস্থল। তবে ইদানিং একটি অদৃশ্য মহল বাজারের প্রতিষ্ঠাতা মুজিবুর রহমানকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
বাউধরন গ্রামের ব্যবসায়ী শাহআলম বলেন, মুজিব মার্কেট প্রতিষ্ঠার পর থেকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে পরিচালিত হয়ে আসছে, এলাকার পঞ্চায়েত ও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের মিটিং এই মার্কেটে হয়, এজন্য মুজিব মার্কেট এখন গুরুত্বপূর্ণ, কোন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ মুজিব মার্কেটে হয়না। মুজিব মার্কেটের ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া বলেন, আমরা শান্তিমত ব্যবসা করছি, আমাদের মুজিব মার্কেটে কোন ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম হয়না।
মুজিব মার্কেট মসজিদের ইমাম হাফেজ ক্বারি নাজমুল ইসলাম বলেন, চার বছর ধরে এখানে ইমামতি করছি, কোনদিন এই মার্কেটে মদ,জুয়া, অসামাজিক কাজকর্ম হতে দেখিনি, তবে মুজিব মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা ও মার্কেট নিয়ে একটি অনলাইনে আজগুবি বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে, এটা বানোয়াট বিত্তহীন।
মুজিব মার্কেট কমিটির উপদেষ্টা মাসুক মিয়া, বলেন, মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা মুজিবুর রহমান তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, তিনি তার মার্কেটে বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অফিস দিয়েছেন, এজন্য একটি মহল তার রাজনৈতিক পরিচয় ও মার্কেটের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে নানান ষড়যন্ত্র করছে, বাজারটি সুন্দর ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। মুজিব মার্কেট পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি ফয়জুল করিম বলেন, মুজিবুর রহমান ও মার্কেটের বিরুদ্ধে অনলাইনে আজগুবি বিষয় উপস্থাপন করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, এটা সম্পুর্ন মিথ্যা বিত্তহীন।
মুজিব মার্কেট পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, সাইফুল ইসলাম জাবেদ বলেন, মুজিব মার্কেট নতুন কমিটি হয়েছে, আমরা বাজারটির উন্নতি করার জন্য চেষ্টা করবো, বাজারে কোন ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম হয়না, হতেও দেবনা, বাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে, এলাকার কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।
মুজিব মার্কেট পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক আহমেদ মিটু বলেন, বাজারের প্রতিষ্ঠাতা মুজিবুর রহমান একজন সমাজ সেবক এবং দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আসছেন, বর্তমানে তাহার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, আমরা নিন্দা জানাই।
মুজিব মার্কেট পরিচালনা কমিটি সেক্রেটারি শাহিনুর রাহমান শাহীন বলেন, নতুন কমিটি হয়েছে, এলাকার মানুষ বাজারে কেনাকাটা করেন, এলাকার কিছু কুচক্রী মহল বাজারের প্রতিষ্ঠাতা মুজিবুর রহমান ও বাজার নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে এলাকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মুজিব মার্কেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি, শাহ মহসিন আহমেদ মামুর বলেন, বাউধরন মুজিব মার্কেটকে বিতর্কিত করার জন্য এবং সামাজিক ঐক্য শৃঙ্খলা বিনিষ্ঠ করতে একটি মহল সোস্যাল মিডিয়ায় ভুল তত্ত্ব দিয়ে এলাকার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, আমরা জানিনা কে-বা কাহারা এসব করছে, বাজার প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুন্দর ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে, বাজারে কোন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ হয়না।