স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কছুর কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিপক দাস ২২ অক্টোবর থেকে স্কুলে অনুপস্থিত। ডাকযোগে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে আরও এক মাসের ছুটির জন্য দরখাস্ত পাঠান।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক দিপক দাস ছুটি ছাড়াই বিদ্যালয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকায় ওই দুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ সেপ্টেম্বর মাসে উনার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা জগন্নাথপুর থানায় যৌতুক ও নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এর পর থেকে সহকারী শিক্ষক দিপক দাস পলাতক রয়েছেন। পলাতক থেকে সহকারী শিক্ষক ডাক্তারের সাথে প্রতারণা করে এক মাসের চিকিৎসাজনিত ছুটি নেন তিনি। এখন পর্যন্ত তিনি পলাতক রয়েছে,
এবং অদ্যবধি তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।
তার বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা।
কছুর কান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে মামলার আসামী, এখব তিনি পলাতক । বিদ্যালয়ে অনু উপস্থিত আছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, দিপক দাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার জবাব পাওয়া যায়নি। দিপক দাস এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানোহবে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে অনু উপস্থিত সেটা আমার জানা নেই,
ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে বলবো।
জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহবুব জামান বলেন, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত এই শিক্ষকের অভিযোগ পেয়েছি, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
ক্যাপশনঃ সহকারী শিক্ষক দিপক দাস, ছবি।