স্টাফ রিপোর্টারঃ
বৃষ্টিতে ভিজে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ট্রাফিকের দায়িত্বও পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাদিক শিক্ষার্থী এই কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেন। এ কাজের স্থানীয়রা সহযোগিতা করছেন।
শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, জগন্নাথপুরের পৌর পয়েন্ট, ডাক বাংলা রোড সহ বিভিন্ন স্থানে তারা ট্রাফিকের দায়িত্বও পালন করতেছেন। এ সময় তাদের নাম জানতে চাইলে তারা জানান উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তারা সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করতেছেন নাম প্রচার করতে তাদের ইচ্ছা নায় এ জন্য তারা নাম বলেন নাই। এ ছাড়াও তারা আরো জানান, কোটা সংস্কার সহ এক দফা দাবিতে জগন্নাথপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী যেভাবে কাজ করেছেন, তেমনি শিক্ষর্থীরা ট্রাফিকের ও মহাসড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণে সড়কে নেমে এসেছেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ঝাড়ু দিয়ে সড়ক পরিষ্কার করে ময়লা-আবর্জনা বস্তায় ভরে নির্দিষ্ট ডাম্পিং এরিয়ায় নিয়ে যান। আর তাদের পানি ও শুকনো খাবার দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মহাসড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশের মতো কাজ করছে। সত্যিই এ দৃশ্য অনেক সুন্দর। আমাদের সবাইকে তাদের সাপোর্ট করা উচিৎ।##
জগন্নাথপুরে ট্রাফিকের দায়িত্ব থাকা ছাত্রদের খাবার দিলেন জামায়াত নেতা
এদিকে
সুনামগঞ্জ ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের কাজে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত শহরের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক পৌর পয়েন্ট ও ডাক বাংলা রোড সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ চিত্র দেখা যায়। স্বপ্রণোদিত হয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাদের এই কষ্টে অংশ নিয়েছেন এক জামায়াত নেতা। জামায়াতে ইসলামী জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার এইছ আর ডি সভাপতি আবুল হোসাইন মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ। এ সময় জগন্নাথপুর পৌর জামায়াতে ৫ নং ওয়ার্ড এর সভাপতি জালাল আহমেদ ও সংবাদকর্মী আল আমিন ইসলাম।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, জগন্নাথপুর শহরে প্রতিদিন নানা প্রয়োজনে হাজার হাজার যানবাহন ঢুকছে। ট্রাফিক পুলিশ কর্ম বিরতি পালন করায় জনভোগান্তি এড়াতে আমরা শিক্ষার্থীরা একযোগে কাজ করছি। আমরা চেষ্টা করছি এখানে যেন কোনক্রমেই যানযটের সৃষ্টি না হয়। এছাড়াও, যারা উল্টো পথে যানবাহন চালিয়ে আসছেন আমরা তাদেরকে সতর্ক করছি। পাশাপাশি মোটরসাইকেল আরোহীদেরকে হেলমেট ব্যবহারে অনুরোধ করছি।
পথচারীরা জানান, চলমান পরিস্থিতির কারণে জগন্নাথপুর শহরের কোথাও পুলিশ বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগের লোকজন দেখা যায়নি। তরুণদের প্রচেষ্টায়, এখন পর্যন্ত যানজট দেখা যাচ্ছে না। তরুণদের এমন উদ্যোগে আমরা আনন্দিত।
আবুল হোসাইন মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ বলেন, ৪৮, ৫২, ৬৯ ও ৭১ সালেও তরুণ এবং শিক্ষার্থীরা যুদ্ধে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছিল। ২০২৪ সালে স্বৈরাচারী শাসককেও তারা বিদায় করেছেন। এখন জগন্নাথপুরের তরুণরাও যেভাবে রাস্তায় নেমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন, এ যেন অন্যরকম বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশের প্রত্যাশা আমরা সবসময় করি। তাদের চেহারায় আমরা আগামীর বাংলাদেশ দেখছি। সমৃদ্ধির বাংলাদেশ দেখছি। আমি অল্প ফল বিতরণ করেছি।##