স্টাফ রিপোর্টারঃ
হাওর বিশিষ্ট সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জনসাধারণের জন্য এবার চিকিৎসা সেবার মান বাড়িয়েছেন বলে দাবি করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা শারমিন আরা আশা। তিনি প্রতিবেদক কে বলেন, একসময় সরকারি এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সেবার মান নিয়ে শুনা যেতো নানান আলোচনা-সমালোচনা, এবার চিকিৎসা সেবার মান বাড়ায় সমালোচনার অবসান ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের উন্নত ও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে, সকল রোগীদের ঔষধ সহ সকল সুযোগসুবিধা প্রদান করা হয়। চিকিৎসা সেবায় জেলার মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রথম স্থানে রয়েছে।
আজ ১ আগষ্ট সকাল ১০ টায় সরজমিনে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসারত একাধিক রোগীদের সাথে আলাপ কালে তারা জানান, জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবার মান আগের চেয়ে তুলনামূলক ভালো রয়েছে এবং রোগীরা চিকিৎসা সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।চিকিৎসার্থীরা আরো জানান খাবারের মান ভালো নেই।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ৫০শয্যা বিশিষ্ট সরকারি এই হাসপাতালে ৬ জন চিকিৎসক, ৬ জন কন্সালটেন্ট ও ২৮ জন দক্ষ নার্স (সেবিকা), মিডওয়াইফ ৭জন সহ জরুরি ও বহির্বিভাগে রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে । গর্ভবতী (প্রসূতি) রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে আধুনিক মানের যন্ত্রপাতি সহ রয়েছে অপারেশন টিয়েটার। উপজেলায় ৫টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ৩টি এফ ডব্লিউ সির মাধ্যমে ডেলিভারি সেবা চালু রয়েছে। প্রতিমাসে গড়ে ৭৫জন মহিলার নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে এর সাথে মাসে ১৩০জনের বেশি সিজার করা হয়। এনডিসি কর্নার সহ রয়েছে সরকারীভাবে ডায়বেটিস্ক পরিক্ষা ও ফ্রি ঔষধ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. শারমিন আরা আশা বলেন, চিকিৎসা সেবা রোগীদের জন্যে উম্মুক্ত রাখা হলেও হাসপাতালে যে এম্বুলেন্স আছে সেটি অনেক পুরাতন এবং হাসপাতালের মুল ভবনটিও পুরাতন ও জরাজীর্ণ হওয়ার ফলে সেবায় কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। বর্তমানে এই হাসপাতালে রোগীদের জন্যে যেভাবে সেবার মানকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে সেই মানকে যেন আরো উন্নত ও আধুনিকায়ান করে সুন্দর ও সু-স্বাস্থ্যকর পরিবেশে যাতে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে পারি সেই জন্যে ওই পুরাতন (জরাজীর্ণ) ভবনটি সংস্কার প্রয়োজন।##