স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই উপজেলার গত কয়েক দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারন।
শনিবার (১৩ জুলাই) সরজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কে ইছগাঁও গ্রামের পাশে কাটাখাল সেতুর পাশে বার বার বন্যার পানি উঠে সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেক দিন এখানে বড় মালবাহী ট্রাকগুলো আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বন্যায় সময় এখানে গর্তে পড়ে ছোট বড় অনেক দূর্ঘটনার কথা জানান স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধার পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত একটি ট্রাক গর্তে পড়ে উভয় পাশে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা ও গাড়ী লোকগুলো মিলে এই ট্রাকটি গর্ত থেকে তুলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও ব্রীজের একাংশের এপ্রোস ধেবে গিয়ে বিপদজনক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে । এই সড়ক পথে ঝুঁকি নিয়েই ভারী যানবাহন চলাচল করছে। এই সড়ক পথে প্রতিদিন সুনামগঞ্জ-ঢাকা যাত্রীবাহী বড় বাস ও মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। গতকাল থেকে ঝুঁকি নিয়ে বাস ট্রাক সহ ছোট যানবাহন চলাচল করছে। এতে যে কোন সময় বড়ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। গত তিন ধরে ক্রমান্বয়ে ধেবে যাচ্ছে এই ব্রীজের এপ্রোস।
গোতগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আলাল মিয়া বলেন, হঠাৎ করে ব্রীজের এপ্রোস ধেবে যাচ্ছে, গত তিন দিন ধরে ব্রীজটির একাংশের এই অবস্থা, দুর্ঘটনা এড়াতে গর্তে সিগনাল দিয়ে রেখেছি।
এ ব্যাপারে সওজ সড়ক বিভাগ সুনামগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম প্রাং এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখানে আমাদের লোক কাজে যাচ্ছে। প্রত্যেক দিন তো বৃষ্টি হচ্ছে এ জন্য কাজ করা যাচ্ছে না। আমরা গর্ত গুলো ভরাট করে দিচ্ছি। আমাদের এই কাজ চলমান থাকবে।##