1. jagannathpurerkhabor@gmail.com : admin :
  2. gobindo83@gmail.com : Gobindo Deb : Gobindo Deb
  3. humayon1985@gmail.com : Humayon Ahmed : Humayon Ahmed
  4. jamaluddibela1983@gmail.com : Jamal Uddin Belal : Jamal Uddin Belal
১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শরৎকাল| মঙ্গলবার| রাত ১:০১|
শিরোনাম
শাহজালাল মহাবিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে কিরাত ও হামদ-নাত প্রতিযোগিতা চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নে ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যােগে সীরাতুন্নবী (সা:) মাহফিল উদযাপন সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার জগজগন্নাথপুরে তিন দিন ধরে নিখোঁজ লুদু মিয়া জগন্নাথপুরে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে অনুদান প্রদান ও মতবিনিময় সভা জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে শতাধিক বসতবাড়ি জগন্নাথপুরে ইকড়ছই মাদরাসায় দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে পাঞ্জাবি ও বোরকা বিতরণ জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিয়ম সভা অনুষ্ঠিত জগন্নাথপুরে বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে বৈষম্যের শিকার কলেজ শিক্ষকদের মানববন্ধন

খলা থেকে কম দামে কৃষকের ধান কিনছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা

রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : সোমবার, মে ২৭, ২০২৪,
  • 32 দেখা হয়েছে

জগন্নাথপুরের খবর ডেক্সঃ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে খলায় বিক্রি হচ্ছে বোরো ধান। সম্প্রতি ভুরাখালী গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকাসুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কৃষকেরা ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই তাঁদের কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। এই সুযোগে একশ্রেণির মজুতদার ব্যবসায়ী গোলায় ধান ওঠার আগেই খলা থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় ও কৃষকেরা জানান, এ উপজেলায় এবার ২০ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয় ১ লাখ ২৮ হাজার ১২০ মেট্রিকটন। তবে এ বছর ভালো ফলন হওয়ায় উচ্চফলনশীল বিভিন্ন জাত থেকে প্রতি কেদার (৩০ শতাংশ এক কেদার) জমিতে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান পাওয়া গেছে। এতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান পাওয়া গেছে বলে জানায় কৃষি কার্যালয়।

কৃষকেরা বলেন, ধান রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এবং কৃষিকাজের ব্যয় মেটাতে ধারদেনা করে আনা ঋণ মেটাতে গোলায় ধান তোলার আগেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু সরকারনির্ধারিত দাম না পাওয়ায় কম দামে ধান বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। এই সুযোগে মিল মালিক ও মজুতদারেরা হাওরে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণে ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলার চিলাউড়া-হলিদপুর ইউনিয়নের দাসনোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক সুমন দাস বলেন, ‘এক হাল (১২ কেদার) জমিতে আবাদ করে ধান পেয়েছি প্রায় আড়াই শ মণ। সারা বছরের খাবারের জন্য ১০০ মণ রেখে দেড় শ মণ ৮৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এত ধান রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ধানগুলো বিক্রি করে দিতে হয়েছে। অনেক জায়গা ঘুরেও এর চেয়ে বেশি দাম পাইনি।’

জগন্নাথপুর পৌরসভার যাত্রাপাশা এলাকার কৃষক রজত গোপ বলেন, ‘৪২ কেজিতে মণ ধরে হাওরে ধান বিক্রি হচ্ছে। একশ্রেণির মজুতদার  খলা থেকে ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি ৪২ কেজিতে মণ ধরে ৯০০ টাকা মণে ১০০ মণ ধান বিক্রি করেছি।’

রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা গ্রামের কৃষক টুনু মিয়া বলেন, ‘বোরো ধান আবাদে ব্যয় বেড়েছে। সরকারনির্ধারিত দামে বিক্রি করলেও কৃষকের লাভ হয় না। কিন্তু আমরা তো ন্যায্য দামই পাই না।’

চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘হাওরপাড়ের অধিকাংশ গ্রামের কৃষকের ধান রাখার নিরাপদ জায়গা নেই। ঝড়-বৃষ্টি বন্যা হলে অনেক সময় কৃষকের ধান পানিতে ভেসে যায়। এসব কারণে কৃষকেরা নিজের খাওয়ার ধান রেখে অতিরিক্ত ধান বিক্রি করে দেন। আবার অনেক কৃষক ধান বিক্রির টাকা দিয়ে ধারদেনা পরিশোধ করেন। মেরামত করেন ঘরবাড়িও।’

জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, ‘কৃষকেরা যাতে সরকারনির্ধারিত দামে ধান বিক্রি করতে পারে, এ জন্য আমরা মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছি।’
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় এবার ২ হাজার ৬০৮ মেট্রিকটন ধান কেনা হবে। লটারির মাধ্যমে ৮৬৯ জন কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ২৮০ টাকা মণ ধরে ধান কেনা হবে। একজন কৃষক ৭৫ মণ ধান বিক্রি করতে পারবেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর
  • © All rights reserved © 2024
Design and developed By: Syl Service BD