জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাওঁ ইউনিয়নে খানপুর গ্রামের চন্দনের সাথে হান্নানের পাওনা টাকার বিরুদ্ধে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ভাঙচুরের পর সহ কারী পুলিশ সুপার শুভাশিস ধর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাত ৯ টায় এখনা ঘটে খানপুর গ্রামে।
এলাকাবাসী সুএে জানা যায় গতকাল রবিবার বিকাল ৪ টায় আলীগন্জ বাজারে খলিল মিয়া ও হান্নান মিয়া সঙ্গে চন্দন দাসের কাছে সুদের টাকা পায় হান্নান , টাকা পাওনা নিয়ে কথা কাটা কাটির জের ধরে প্রথমে হাতা হাতি ঘটনা ঘটে।পরে খলিল ও হান্নান সহ ১৫/২০ জন মিলে রাত ৯ টায় খানপুর গ্রামে চন্দন দাসের বাড়িতে হামলা লোট পাট ও প্রতিমা ভাঙচুর করে।
পারিবারিক মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা হাত ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রবিবার রাত৯ টায় উপজেলার পাইলগাওঁ ইউনিয়নের খানপুর হিন্দু পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
চন্দন দাস জানান, তাঁর বাড়ির পারিবারিক উঠানে মন্দিরে তিন যুগ ধরে গ্রামের সবাই পূজা-অর্চনা করে আসছেন। হামলাকারীরা
বাড়িতে প্রবেশ করে প্রতিমার হাত ও বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে।
পল্লী চিকিৎস নিতেশ দাস বলেন রাত ৯ টার দিকে ১৫/২০ জন লোক তিন দফা হয়। পরবর্তীতে হামলাকারী বাড়িতে মহিলাদের অতর্কিত হামলা চালায় মন্দিরের নির্মাণাদিন নতুন কালী মুতি হাত ভাঙচুর করে।।
এতে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জগন্নাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে , আহতরা হলেন, করুনা দাস ( ৮৫) অমরী দাস (৫০) চন্দন দাস (৪৫) কাঞ্চন দাস (৪০)বাকীদের কে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অমরী রানী বলেন এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত আছি ৭১ সালের মতো ঘটনা হলো, হিন্দু বাড়িতে হামলা।
এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় চন্দন দাস বাদী হয়েছে হান্নান কে প্রধান আসামী করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের করেছেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জগনাথপুর থানার কর্মকর্তা (তদন্ত ) সু শংকর পাল বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে মামলা নেওয়া হয়েছে। উক্ত ঘটনার আলোকে আক্ষরিকভাবে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৫ জন আসামি গ্রেফতার গ্রেফতার করেন এবং অদ্য অত্র মামলার মূল আসামি নবীগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আজ ঘটনার পর সোমবার দুপুর ১২ টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন চন্দ্র দাস ও সহকারী পুলিশ সুপার শুভাশিস ধর ও পুলিশ
সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন চন্দ্র দাস বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ৭ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম বলেন, সনাতন সম্প্রদায়কে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। উক্ত ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের জড়িত সাতজন আসামিকে গ্রেফতার করায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম এর সহিত যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান উক্ত ঘটনায় কোন অপরাধীকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।। প্রধান আসামী সহ ৭ জন আসামী কে আদালতে পাঠানো হয়েছে।