মন্ত্রী বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২২ জনের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৩৩ জন এবং পাশের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১২ জন মারা গেছেন।তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটা ঘটনা। আমরা চেষ্টা করছি, যাঁরা এখনো বেঁচে আছেন, তাঁদের যেন সুস্থ করে তুলতে পারি। শরীরের বাইরে পোড়া না থাকলেও ভেতরে পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের ওই ভবনের নিচের অংশে আগুন লাগে। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর অগ্নিনির্বাপণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসএ ঘটনায় ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয় ও ৪৫ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সাততলা ওই ভবনে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট, খানাস, ফুকো, অ্যাম্ব্রোশিয়াসহ একাধিক রেস্টুরেন্ট ছিল ও দোতলায় কাপড়ের দোকান ‘ক্লজেট ক্লাউড’ ও ‘ইলিয়েন’ ছিল।
এসব দোকানপাট অনেকাংশেই ভস্মীভূত হয়ে গেছে।ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, পুরো ভবনের প্রতিটি তলায় অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট ছিল এবং ভবনে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রাখা ছিল। ফলে আগুন লাগার পর তা দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। আটকেপড়াদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস সর্বাত্মকভাবে কাজ করেছে ও এখনো তল্লাশি চালাচ্ছে।